গত বছর ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলে হঠাত করেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন তিনি। এদিকে তামিমের অবসর এবং সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পর বিশ্বকাপে দেশসেরা এই ওপেনার খেলবেন কি না তা নিয়েও জলঘোলা হয়েছে অনেক। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না তামিম।
বাংলাদেশের হয়ে তিনি সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে। বিশ্বকাপের পর বিপিএল দিয়েই আবার মাঠে ফিরেছেন তামিম। এবারের টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে সবথেকে বেশি রান করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর অধিনায়কত্বেই প্রথমবারের মত বিপিএল শিরোপ জিতে বরিশাল। এতে এবারের আসরে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন দেশসেরা এই ওপেনার।
এদিকে ব্যাট হাতে সফল একটি টুর্নামেন্ট পাড়ি দেয়ার পর স্বভাবতই ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, আবার কবে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামবেন তামিম। তবে দেশসেরা এই ওপেনার নিজেই জানিয়েছিলেন যে তাকে আবার মাঠে ফেরাতে হলে বেশ কিছু বিষয় ঠিক করতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, বিপিএল শেষ করেই দেশের বাইরে যাচ্ছেন তিনি। সেখান থেকে ফিরেই বিসিবি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।
সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তামিম। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রধান কোচ থাকলে তামিম ফিরবেন কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে দেশসেরা এই ওপেনার বলেন, ‘আমার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা খুব ডিফিকাল্ট।’
বিশ্বকাপের আগে তাঁর অধিনায়কত্ব ছাড়ার বিষয়ে কেউ জানতেন না এমন কথার জবাবে তামিম বলেন, ‘আমার সাথে পাপন ভাই, জালাল ভাইয়ের দেড় ঘন্টা মিটিং হয়েছে। আমি সব কিছুই বলেছি যে আমি কেমন অনুভব করি এসব। ইনজুরিও একটা কারণ ছিল। এশিয়া কাপের আগেও সভাপতি, ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে।’
এরপরই তামিম বলেন, ‘টিম এবং টিম ম্যানেজম্যান্ট থেকেও কয়েকবার আমাকে অনেকটা থ্রেটই দেয়া হয়েছে যে এরকম হলে আমরা অন্য ক্যাপ্টেন দেখবো। এসব নিয়েই আমি হ্যাপি ছিলাম না, এসব বলতেও পারবো না মিডিয়ায়।’